প্রকাশিত: Mon, Jun 3, 2024 12:01 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 12:17 AM

[১]যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক জয়ে পর্দা উঠলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের

এল আর বাদল: [২] টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কাকে বলে তা যেনো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডা। দুই দলের বোলারদের ওপরই রীতিমত ঝড় বয়ে গেছে। ছক্কা আর চারের ফোয়ারা বইয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। 

[৩] এদিন জিততে হলে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড গড়তে হতো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৬৯। আর নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল বেছে নিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচকেই। 

[৪] ডালাসে কানাডার করা ৫ উইকেটে ১৯৪ রান যুক্তরাষ্ট্র টপকে গেছে ১৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলো মধ্যে রান তাড়ার রেকর্ডও।

[৫] যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রেকর্ড গড়ার দিনের মূল নায়ক অ্যারন জোন্স। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে ফিফটি করেন জোন্স, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। তার এই ইনিংসেই মূলত পুরো ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেয়। ১০ ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন জোন্স। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তিন নম্বরে খেলা আন্দ্রিস গুস।

[৬] গুস আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চত করে মাঠ ছাড়েন জোনস। রোববার নিউইয়র্কের ডালাসে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

[৭] বিশাল টার্গেট তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খেয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। স্টিভেন টেইলর (০) এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৪২ রান। সপ্তম ওভারে সেই জুটি ভাঙার পর শুরু হয় আসল খেলা। তৃতীয় উইকেটে জাঁকিয়ে বসেন অ্যান্ড্রিয়াস গউস আর আ্যারন জোন্স। ২২ বলে ফিফটি পূরণ করেন জোন্স। আর গউস ফিফটি করেন ৩৯ বলে। মাত্র ৪৫ বলে তাদের জুটি তিন অংক ছাড়িয়ে যায়।

[৮] ৫৮ বলে ১৩১ রানের ভয়ংকর এই জুটি ভাঙে অ্যান্ড্রিয়াস গউসের বিদায়ে। ৬৫ রান করে এই ব্যাটার। অ্যারন জোন্সের সঙ্গী হন কোরি অ্যান্ডারসন। এই দুজনের ব্যাটেই ১৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যারন জোন্স।

[৯] এর আগে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে কানাডা। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী